রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন

সকালের নাস্তায় ভাত নাকি রুটি ?

সকালের নাস্তায় ভাত নাকি রুটি ?

স্বদেশ ডেস্ক:

দিনের প্রথম খাবার হলো সকালের নাস্তা। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সকালের নাস্তার জন্য খাবার নির্বাচনের সময় অত্যন্ত সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদরা। তাদের কথায়, সকালের খাবার নিয়ে সচেতন না হলে দেহে এনার্জির ঘাটতি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে।

সুস্থ থাকতে সকালের নাস্তায় যে ৫ খাবার স্বাস্থ্যকর

পুষ্টিবিদরা এও বলছেন, একবার দেহে এনার্জির ঘাটতি হলে দিনের শুরু থেকেই কাজের প্রতি অনীহা তৈরি হতে পারে। তাই সকালের নাস্তা নিয়ে সাবধান তো হতেই হবে। অনেকেই সকালের নাস্তায় ভাত-রুটির মতো কার্বহাইড্রেড যুক্ত খাবার খান। এরপরই নিজ নিজ কর্মস্থলের পথে পা বাড়ান।

এখন প্রশ্ন হলো এভাবে সকাল সকাল ভাত-রুটি খাওয়া কি আদৌ উচিত? নাকি এতে স্বাস্থ্যের ক্ষতির আশঙ্কাই বাড়ে? চলুন দেরি না করে গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ভাত, রুটিতে রয়েছে কার্ব 

সংগৃহীত ছবি।

ভাত-রুটি হলো আমাদের কার্বের মূল উৎস। আর কার্ব হল শক্তির উৎস। অর্থাৎ এসব খাবার থেকে প্রাপ্ত কার্বকে পুড়িয়েই শরীর নিজের প্রয়োজনীয় শক্তি অর্জন করে। তাই দেহে এনার্জির ঘাটতি মেটাতে ভাত-রুটির শরণাপন্ন হওয়াই যায়।

তবে এখানেই শেষ নয়, বরং এই দুই খাবারে কিছুটা পরিমাণে ভিটামিন, খনিজও রয়েছে। তাই সুস্থ থাকতে ভাত-রুটি পাতে রাখতেই হবে বলে জানাচ্ছেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদরা। তারা বলছেন, যারা সকাল সকাল অফিসে যান, তারা অনায়াসে ভাত বা রুটি খেয়ে গন্তব্যে যেতেই পারেন। এতেই দেহে এনার্জির ঘাটতি মিটে যাবে। এমনকি শরীরে আসবে প্রাণ।

তাই সকালে ভাত-রুটি খাওয়ায় কোনো বারণ নেই। বরং এই কাজটা করলে উপকারই মিলবে। তবে সকালে ভাত-রুটি খাওয়ার সময় কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমন-

ফুল মিল খেলেই উপকার মিলবে

 

সকালে ভাত, রুটির সঙ্গে এক বাটি সবজি রাখা আবশ্যক। সেই সঙ্গে মাছ, ডিম, মাংসের মধ্যে যে কোনো একটি প্রোটিন যুক্ত খাবারের পদ রাখতেই হবে। তাহলেই দেহে প্রোটিনের ঘাটতি মেটানো সম্ভব।

সেই সঙ্গে সকালের নাস্তা সেরে উঠে খেয়ে নিন এক বাটি দই। কারণ দইতে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী কিছু ব্যাকটেরিয়া, যা কিনা গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো একাধিক রোগের ফাঁদ এড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। সুতরাং সুস্থ থাকতে এই নিয়মটা মেনে চলতেই হবে।

তিন বেলা ভাত নয়

 

অনেকেই সকাল, বিকাল, রাত্রি- তিন বেলাই ভাত খান। এতেই একাধিক জটিল অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে! কারণ ভাতের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটাই বেশি। তাই নিয়মিত দিনের তিন বেলাই ভাত খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা ঊর্ধ্বমুখী হতে সময় লাগবে না। এ বিষয়ে সাবধানতা জরুরি।

রাতে হালকা খাবার খান 

 

ছবি: সংগৃহীত

সুস্থ থাকতে সকালে ও দুপুরে ভারী খাবার খান। কিন্তু রাতের বেলায় ভাত-রুটির সঙ্গে অহেতুক ভারী পদ খাবেন না। এই ভুলটা করলে সমস্যা বাড়বে বৈকি! তাই রাতের বেলায় হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। মাছ, মাংস এড়িয়ে চলুন। এতেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্ত হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877